সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী অজয় বর্মণের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
![]() |
| মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা © দ্যা ডেইলি এডুকেশন বিডি |
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) শিক্ষার্থীরা শিক্ষাভবন 'ডি' সামনে মানববন্ধন করে। সেখান থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে যান এবং পরবর্তীতে গোল চত্ত্বরে প্রেস ব্রিফিং করেন। এসময় তারা 'জাস্টিস ফর অজয় বর্মন', 'প্রহসনের বহিষ্কার মানি না,মানবো না' ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
উল্লেখ্য গত ২৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭ তম সিন্ডিকেট সভায় জুলায় গণ-অভ্যুত্থানে হামলা ও অস্ত্রসম্পৃক্ততায় ১৯ জনকে আজীবন বহিষ্কার এবং বিভিন্ন মেয়াদে ১৭ জনকে সাজা দেয়া হয়। এর মধ্যে অস্ত্র ও মাদক সংশ্লিষ্টতায় বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী অজয় চন্দ্র বর্মনকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
তবে শিক্ষার্থীদের দাবী অজয় চন্দ্র বর্মনকে ছাত্রলীগের হুমকির তোয়াক্কা না করে জুলাই আন্দোলনের শুরুলগ্ন থেকে সামনের সারিতে দেখা গিয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে থাকা হলে থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা অত্যান্ত চ্যালেঞ্জিং ছিলো,সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনের সারিতে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে অজয় চন্দ্র বর্মনকে। তাই হলে থাকা মাদক ও অস্ত্রের সাথে অজয় বর্মণের সংশ্লিষ্টতা থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না।
এসময় বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী শফিক বলেন, "অজয় বর্মন জুলাই অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে আন্দোলন করেছে। আন্দোলনের শুরুতে যখন গুটিকয়েক মানুষ আন্দোলন শুরু করেছিলো,তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলো অজয়। সে সামনের সারিতে প্লেকার্ড বহন করা থেকে স্লোগান দিতো। তাই প্রশাসনের কাছে বিনীত আবেদন অজয় বর্মণের বহিষ্কারের ব্যাপারে পুনর্বিবেচনা করবেন। এই বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার না করলে, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই আদেশ মেনে নিবে না।"
এছাড়াও অন্যান্যরাও অজয় বর্মণের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবী জানান।
