সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫ এর পূর্ণাঙ্গ তফসিল প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তফসিল ঘোষণা করা হয়।
![]() |
| ছবি: শাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ©️দ্যা ডেইলি এডুকেশন বিডি |
প্রকাশিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের রোডম্যাপ :—
- ১৬ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার: নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা।
- ২০ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ।
- ২২ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার: খসড়া ভোটার তালিকার আপত্তি গ্রহণ (বেলা ১টা পর্যন্ত)।
- ২৩ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার: চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ।
- ২৪–২৫ নভেম্বর ২০২৫: মনোনয়ন ফরম বিতরণ (বেলা ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত)।
- ২৬ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার: মনোনয়নপত্র গ্রহণ (বেলা ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত)।
- ২৭ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার: মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই।
- ২৮ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার: প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ।
- ৩০ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার: মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ (বেলা ৩টা পর্যন্ত)।
- ১ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার: প্রার্থীতা বিষয়ে শুনানি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি (বিকেল ৪টা পর্যন্ত)।
- ২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার: চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ।
- ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার: ভোটগ্রহণ (সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত)।
তফসিলে জানানো হয়েছে, ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী সকল কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সম্পন্ন হবে।
তবে দীর্ঘদিন পর শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে শিক্ষার্থীদের মনে যে আকাঙ্খা ছিলো তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। শীতকালীন বন্ধের ঠিক আগ মূহুর্তে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার ফলে অনেক শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপের এক জরীপে দেখা যায় প্রায় ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন জানান, আমরা একাধিকবার শিক্ষার্থীদের সাথে বৈঠক করে এব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি এবং নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার এখতিয়ার রাখে উপাচার্য, তার নির্দেশই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
তফসিল ঘোষণার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ সংবাদ সম্মেলন করেন এবং অভিযোগ জানান, নির্বাচন কমিশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো এক পক্ষের চাপে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দেয়ার চিন্তা করছে। তবে এব্যাপারে নির্বাচন কমিশন বলেন, "এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই এবং কোনো প্রকার চাপ কিংবা হুমকি অথবা কোনো নির্দিষ্ট এক পক্ষের প্রতি অনুগত হয়ে নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট করেনি প্রশাসন।"
এছাড়াও নির্বাচন কমিশন জানায় শিক্ষার্থীদের নির্বাচনমূখী করা এবং নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে বিলবোর্ড, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা-সহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিবেন তারা। এবং নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে।
